Read in English, Hindi, Kannada, Marathi, Meitei (Romanized), Punjabi, Thadou, Telugu or Urdu.
তথ্য অনুসারে ২০২৩ ইন্টারনেট পরিষেবা সর্বাধিক সময়ের জন্য বন্ধ করার সবচেয়ে খারাপ বছর ছিল। হিংসা বাড়িয়ে, যুদ্ধাপরাধ উৎসাহিত করে, গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ, এবং নৃশংসতা লুকিয়ে ও সক্ষম করে, কর্তৃপক্ষগুলি ৩৯টি দেশে অন্তত ২৮৩ বার ইচ্ছাকৃতভাবে ইন্টারনেটে বাধা দিয়েছে। তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষের মানবাধিকারকে চূর্ণ করা হয়েছে৷ টানা ষষ্ঠ বছরের জন্য, ভারত অন্তত ১১৬ বার ইন্টারনেট বিপর্যস্ত করে বিশ্বকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করাতে নেতৃত্ব দিয়েছে।
আজ মে ১৫ তে শুরু হচ্ছে, অ্যাক্সেস নাউ এবং #KeepItOn coalition’s নতুন রিপোর্ট, Shrinking democracy, growing violence: Internet shutdowns in 2023, এক বিপজ্জনক বছর জুড়ে মানবাধিকারের উপর নৃশংস হামলার অতুলনীয় প্রভাব এবং ধ্বংসের কথা প্রকাশ করে।সম্পূর্ণ রিপোর্ট, গ্লোবাল স্ন্যাপশটএবং এশিয়া প্যাসিফিক ডিপডাইভ পড়ুন।
২০২৩ সালে টানা ষষ্ঠ বারের মতো পুরো ভারত জুড়ে, সরকার, অন্য যে কোনও দেশের চেয়ে বেশি বার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে, গণতন্ত্র কে আঘাত করেছে৷ মণিপুর থেকে পাঞ্জাব পর্যন্ত, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অন্যায়ভাবে জনগণের বাক স্বাধীনতা, তথ্য এবং সমাবেশের অধিকার লঙ্ঘন করেছে।নম্রতা মহেশ্বরী, অ্যাক্সেস নাও-এর সিনিয়র পলিসি কাউন্সেল
ভারতের মূল অনুসন্ধানগুলির মধ্যে রয়েছে:
- তথ্য: ভারত, ষষ্ঠবারের জন্য, অন্তত ১১৬টি গণনার যোগ্য বন্ধকরণ সহ ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধকরণে বিশ্য কে লজ্জাজনক ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে।
- কর্ম পরিধি: গত পাঁচ বছরে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ৫০০ বারের বেশি কিল সুইচের ব্যবহার করে, বারবার বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের লক্ষ লক্ষ মানুষকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছে।
- সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ: মে থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে, মণিপুরের প্রায় ৩২ লক্ষ্ মানুষ ২১২ দিনের জন্য রাজ্য জুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের অধীনে ভোগে।
- অপরাধীরা: মোট ১৩ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ২০২৩ সালে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছে, যেখানে তাদের মধ্যে সাতটি পাঁচ বা তার বেশি বার ইন্টারনেট পরিষেবা বিপর্যস্ত করেছে।
- সময়কাল: ২০২২ সালে ৫ দিন বা তার বেশি সময়ের জন্য ১৫ শতাংশ থেকে ২০২৩ -এ ৪১ শতাংশ মট ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।
- ডিজিটাল বিভাজন: ৫৯ শতাংশ ইন্টারনেট বন্ধকরন বিশেষকরে মোবাইল নেটওয়ার্কগুলিকে এমন একটি দেশে লক্ষ্য করে যেখানে প্রায় ৯৬ শতাংশ লোক ইন্টারনেট ব্যবহার উপলক্ষে ওয়্যারলেস পরিষেবার উপর নির্ভর করে।
- বাধা: ঐতিহাসিক ভাসিন বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ার রায়ের চার বছর পর, কর্মকর্তারা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের আদেশ প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য আদালতের দ্বারা বারবার সংশোধন করা হয়েছে।
একাধিক বার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার পরেও ভারতের সর্বোচ্চ নির্বাচিত কর্মকর্তাদের জন্য বারবার ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করা মেনে নেওয়া যায়না।গত পাঁচ বছরে ৫০০ বারের বেশি ইন্টারনেট বন্ধ করাতে, ভারতের নির্বাচিত নেতাদের অবিলম্বে নিশ্চিত করা উচিত যে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ইন্টারনেট বন্ধ করা থেকে মুক্ত আছে। এই আশ্বাস ছাড়া তারা বিশ্বব্যাপী ডিজিটালাইজেশন নেতা হিসাবে স্বীকৃত পাওয়ার যোগ্য না। এই ডিজিটাল যুগে দেশে মানবাধিকারকে অসম্মান করে তারা বিশ্বের জন্য ডিজিটাল অ্যাক্সেসের অগ্রগতি দাবি করতে পারে না।অ্যাক্সেস নাউ-এর এশিয়া প্যাসিফিক পলিসি ডিরেক্টর রমন জিত সিং চিমা
২০২৩সালে, কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য পক্ষগুলি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে সরকার অনলাইন এবং অফলাইন প্রতিবাদ ও ভিন্নমত দমনে নিজেদেরকে আরও নিবিষ্ট করেছে তার সাথে নেপাল ও টিকটক ব্লক করে এই তালিকায় যোগ দিয়েছে।
সম্পূর্ণ রিপোর্ট, গ্লোবাল স্ন্যাপশট এবং এশিয়া প্যাসিফিক ডিপডাইভ পড়ুন।